HSC পাশ কি ডিএমএফ, ম্যাটসের থেকেও বেশি যোগ্যতাধারী?

     

    HSC পাশ কি ডিএমএফ, ম্যাটসের থেকেও বেশি যোগ্যতাধারী?

    ♦️ HSC - সাধারণ একাডেমীক কোর্স।

    ডিউরেশনঃ ২ বছর।

    মেডিকেল রিলেটেড সাবজেক্টসঃ ১ টি (বায়োলজি)

    বায়োলজি মোট মার্কঃ ২ বছরে মাত্র ২০০ (উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা ইত্যাদি সহ)

    পাশ মার্কঃ ৩৩

    মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশনঃ বাংলা

    শিক্ষকঃ সাধারণ বিজ্ঞানের শিক্ষক 

    উদ্দেশ্যঃ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রদান

    ♦️ DMF - পূর্ণাঙ্গ ডিপ্লোমা কোর্স।

    ডিউরেশনঃ ৪ বছর + ৬ মাস ইন্টার্নশিপ। (৪.৫ বছর)

    মেডিকেল সাইন্স সাবজেক্টসঃ ১১+

    মোট মার্কঃ ২২০০+ (শুধুমাত্র মেডিকেল সাবজেক্টস)

    পাশ মার্কঃ লিখিত ৬০ এবং ভাইভা ৬০ একত্রে নূন্যতম পাশ মার্ক ১২০।

    মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশনঃ ইংলিশ

    শিক্ষক (লেকচারার) নূন্যতম এমবিবিএস।

    উদ্দেশ্যঃ মধ্যম স্তরের চিকিৎসা পেশাজীবী তৈরিকরন।

    ডিএম‌এফ চিকিৎসকদের প্রেসক্রাইব করার বৈধতা আছে কি? আইন কি বলে? 

    অর্থাৎ DMF ডিগ্রিধারী এইচএসসির তুলনায় বিজ্ঞান বিষয়ে ২.৫ বছরের অতিরিক্ত যোগ্যতাধারী এবং মেডিকেল সাবজেক্টসে ৪.৫ বছরের ডিপ্লোমাধারী। বিএমডিসি হতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী চিকিৎসা করার জন্য স্বীকৃত।

    তাই HSC এর জীববিজ্ঞানের আংশিক মেডিকেল সাইন্সের সাথে মেডিকেল বিষয়ে DMF (ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) ডিপ্লোমাকে তুলনা করা হলে তা কোনভাবেই খাপ খায়না।

    HSC পাশ কি ডিএমএফ, ম্যাটসের থেকেও বেশি যোগ্যতাধারী?

    সুতরাং প্রশ্ন র‌ইলো, মেডিকেল বিষয়ে ৪.৫ বছরের একজন ডিপ্লোমাধারী উচ্চ শিক্ষা হিসাবে ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টসে পড়ার সুযোগ চাওয়া কেন অন্যায় হবে?

    পৃথিবীব্যাপী এমবিবিএস ছাড়াও যে মেডিকেল পেশাজীবীরা প্রেসক্রিপশন করার ক্ষমতা রাখেন

    ২ বছর সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পেলে, ৪.৫ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়েও কেন এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পাবে না?

    ভর্তি যোগ্যতার প্রশ্নে বলবো ইভালুয়েশন সিস্টেম অবশ্যই থাকবে। ডিএম‌এফ'গণ ক্রেডিট ট্রান্সফার অথবা ব্রিজিং প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়ে এমবিবিএস পড়বে, চান্স না পেলে পড়বে না, এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

    বাংলাদেশে এমবিবিএস শিক্ষার মান, চিকিৎসকের অদক্ষতা, অপচিকিৎসার কারণ বিশ্লেষণ

    যারা অযৌক্তিক তুলনা করেন তারা হয়তো অবুঝ, আর নাহয় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেন।